মো. আল আমিন টিটু :
ভৈরবে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালিয়ে ৬ জন প্রবাসীকে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করেছেন। তারা গতকাল বুধবার থেকে ১৪দিন পর্যন্ত চিকিৎসকদের পর্যেবেক্ষণে থাকবেন। পৌর শহরের কমলপুর ও কালিপুর থেকে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে বিদেশ ফেরত এই ৬ জন প্রবাসীকে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়। তারা সবাই ইতালী প্রবাসী। এদের মধ্যে মুছা মিয়া নামে একজনকে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ধরে এনে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
জানাগেছে, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গেল এক সপ্তাহে বিদেশ ফেরত ৯৬ জন প্রবাসীকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়। তারা সবাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বা করোনায় আক্রান্ত ইতালীসহ সৌদি আরব, বাহরাইন ও কুয়েত থেকে দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ইতালী ফেরত প্রবাসীর সংখ্যা বেশি। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়া হয়। ১৪ দিন পর্যন্ত তারা ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ অবস্থানের সময় তাদেরকে স্বাস্থ্যকর্মীরা পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে তারা অবাধ চলাফেরা করায় অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। ফলে শহরের কালীপুর থেকে একই গ্রামের শ্বশুর বাড়ি থেকে মুছা মিয়া নামে একজন ইতালী ফেরত প্রবাসীকে ধরে এনে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি অন্য প্রবাসীরা হলেন, ইতালী ফেরত কালিপুরের রুবেল মিয়া, আঙ্গুর মিয়া এবং কমলপুরের তৌহিদ সরকার ও এনামুল সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী চীন ও ইতালীসহ বিভিন্ন দেশে মহামারীতে রুপ নেয়া করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশে সরকার নির্দেশনা হিসেবে সারাদেশের মতো ভৈরবেও উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা। তিনি আরও বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ অবস্থান করা প্রবাসীরা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করায় অভিযান শুরু হয়েছে। বিদেশ ফেরত সবাইকে আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না। প্রয়োজনে প্রশাসন আরও কঠোর হবে। আর কেউ তা অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী জেল ও জরিমানা করার বিধানও রয়েছে।